• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন

×

তীব্র সুপেয় পানি সংকট পাইকগাছার দেলুটির ভাঙন স্থানে বিকল্প রিংবাঁধ বর্ষার আগে বাঁধ মেরামত হবে-পানি সচিব

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪
  • ৪৬ পড়েছেন
স্নেহেন্দু বিকাশ,পাইকগাছাঃ
ঘুর্নিঝড় রেমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে খুলনার পাইকগাছায় লন্ডভন্ড দেলুটি’র তেলিখালী’তে পাউবো’র ভাঙন কবলিত স্থানে বিকল্প রিংবাঁধ দিয়ে পোল্ডারে  লবন পানি আটকানো সম্ভব হয়েছে। ভূমিমন্ত্রীর পরিদর্শনের পর শুক্রবার সকালে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ নাজমূল এহসান  তেলিখালী’র ভাঙন কবলিত বেঁড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা মতে বর্ষা মৌসুমের আগে সংশ্লিষ্টদের জরুরী ভাবে সবগুলো ভাঙন পয়েন্টে কাজ করার নির্দেশনা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন, দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডলসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা।
এদিকে প্লাবিত এলাকায় তীব্র খাবার পানির সংকট নিরশনে মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে সুপেয় পানি বিতরন শুরু করা হয়েছে।
জানাগেছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় প্রতিদিন ৭ ঘন্টা করে পানি সরবরাহ করবেন। রেমালে’র আঘাতে জলোচ্ছ্বাসে লবন পানিতে প্লাবিত হয়ে বহু গ্রামের মানুষ তীব্র  সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে। জলমগ্ন গ্রাম গুলোর মধ্যে ২২নং পোল্ডারের দেলুটি ইউপি’র তেলিখালী,হাটবাড়ী,কালিনগর,ফুলবাড়ী,গোপিপাগলা,গেউবুনিয়া চকরি-বকরিসহ ১২গ্রাম ও ২৩ নং পোল্ডারের সোলাদানা ইউপি’র ছালুবুনিয়া,খালিযারচক, আমুরকাটা,সোলাদানা, বয়ারঝাপা,দীর্ঘাসহ ২১গ্রাম ও লস্কর ইউপি’র করুলিয়া ও লস্কর,১৯/২০ পোল্ডারের লতা, হানি-মুনকিয়া,পুটিমারী,১০/১২ পোল্ডারের গড়ইখালীর অংশ বিশেষ । সরেজমিনে জানাগেছে, এসব এলাকায় গৃহস্থলীর কাজ ব্যবহৃত পানি ও সুপেয় পানির তিব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে  লবন পানিতে প্লাবিত হয়ে মিষ্টি পানির উৎস্য পুকুর-খাল ও জলাশয় নষ্ট হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও মিষ্টি পানির মাছ ও শামুক,ঝিনুক জলজপ্রানী মরে দুর্ঘন্ধ ছড়াছে।
সোলাদানার আমুরকাটার বাসিন্দা সংবাদ কর্মী বি,সরকার জানান, ইউনিয়নের মানুষ ভীষন কষ্টে আছে। তিনি বলেন লবন পানির চিংড়ি চাষের কারনে এমনিতেই সুপেয় পানি সংকট রয়েছে। এর পরেই ঘুর্নিঝড়ে বাঁধ ভেঙ্গে ২১ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানি সংকট আরো তীব্র হয়েছে। লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস জানান,এমনিতেই লতা সহ আশপাশ ইউনিয়ন  টিউবওয়ের সাকসেসফুল না। এ দুর্যোগে প্লাবিত হয়ে পুটিমারী,লতাসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ স্নান ও খাবার পানি সমস্যায় পড়েছে।
গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জি,এম আব্দুস সালাম কেরু বলেন,স্থানীয় আলমশাহী ইনস্টিটিউটের পুকুর থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে শিবসা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ সুপেয় পানি চাহিদা পূরন করছেন।লস্করের দীপঙ্কর মন্ডল জানান, আমরা গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত পানি ও খাবার পানির কষ্টে আছি। আইলায় পোল্ডারে লবন জল ঢুকলেও গ্রাম বাসির একমাত্র ভরশা মিষ্টি পানির বড় দীঘি অক্ষত ছিল। কিন্তু রেমালে এ দীঘি প্লাবিত হয়ে তছনছ করে দিয়েছে। মাছ,শামুক-ঝিনুক মরে দুর্ঘন্ধ ছড়াছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের  উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহাদাৎ হুসাইন জানান,দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ দেলুটি,সোলাদানা ও গড়ইখালী ইউনিয়নে মোবাইল ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে প্রতি ঘন্টায় ৬৬০ লিটার করে  বিনামূল্যে খাবার পানি বিতরণ কর্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে ইতোপুর্বে ১০ ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ৩ হাজার লিটারের ৫ হাজার পানির ট্যাংকি বিতরন করা হয়েছে। এ বিষয়ে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান বলেন,উপকূলীয় লবনাক্ত এলাকায়  এমনিতেই সুপেয় পানির সংকট বিদ্যমান।এর পর প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেই সে সংকট আরো তীব্র হয়।  লবন পানির চিংড়ি চাষে সুপেয় পানি সংকটের অন্যতম কারন বলে তিনি মনে করেন।
তিনি “দৈনিক দেশ সংযোগ” প্রতিনিধিকে জানান,প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার কথা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা খাবার পানি সংকট নিরশনে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে উপকূলীয় এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমান জলাধার উপহার দিবেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA